বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
ProdhanKhabor | Popular NewsPaper of Bangladesh
বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫ ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দাউদকান্দিতে ধানসিঁড়ি সমাজ কল্যানের উদ্যোগে ময়লার ভাগাড় পরিচ্ছন্নতা অভিযান তারেক রহমান: গণতান্ত্রিক চেতনায় নেতৃত্বের নতুন প্রতীক ডেঙ্গুর হটস্পট দাউদকান্দিতে জামায়াতের উদ্যোগে মশা নিধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত বাগেরহাটের চিতলমারী কলাতলা ইউনিয়ন উন্নয়ন ফোরামের কমিটি গঠন শব্দটা ‘সাংবাদিক’ না ‘রিপোর্টার’? জানতে পড়ুন শিক্ষার মান উন্নয়নে ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেনের অবদান স্বরণীয় হয়ে থাকবে : খন্দকার মারুফ দাউদকান্দিতে কৃষকদের নিয়ে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত দাউদকান্দিতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, ডেঙ্গু পরিক্ষা ও ওষুধ বিতরণ অনুষ্ঠিত দাউদকান্দিতে নিরাপদ খাদ্য সচেতনতায় ব্যবসায়ী ও কর্মীদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত বাবা দিবস উপলক্ষে আউটস্ট্যান্ডিং ফাদার অ্যাওয়ার্ড প্রদান দাউদকান্দিতে ডেঙ্গু সচেতনতায় ধানসিঁড়ি সমাজ কল্যান পরিষদের অভিযান কোটি টাকার রাজস্বের ইলিয়টগঞ্জ বাজারের উন্নয়নের দাবীতে প্রতিবাদ ব্যাচ ভিত্তিক বন্ধুদের সংগঠন ঠিকানা-দুই হাজার পাঁচ এর পথচলা শুরু ২৭ বছর পর জুরানপুর আদর্শ কলেজের ৯৮ ব্যাচের মিলনমেলা দাউদকান্দি পাবলিকিয়ান স্টুডেন্ট'স এসোসিয়েশনের ঈদ পুনর্মিলন ও নৌকা ভ্রমণ দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২৫টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্য কাজ করতে হবে: নূর মোহাম্মদ সেলিম আমাদের শিক্ষার্থীদের ভালো লেখাপড়ার জন্য কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি: ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন রাজধানীর কাকরাইলে লিগ্যাল কনস্যুলেট ল' ফার্মের উদ্বোধন শহীদ জিয়াউর রহমান আমার রাজনৈতিক আদর্শ: সালাউদ্দিন ভূঁইয়া
বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের অন্যতম দিকপাল

মহিউদ্দীন আহমদের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মহিউদ্দীন আহমদের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের অন্যতম দিকপাল, স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত প্রকাশক ও আহমদ পাবলিশিং হাউসের প্রতিষ্ঠাতা মহিউদ্দীন আহমদের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ)। মরহুম মহিউদ্দীন আহমদ এদেশের সৃজনশীল প্রকাশনা শিল্পের পথিকৃৎ ও ঐতিহ্যমন্ডিত আহমদ পাবলিশিং হাউসের প্রতিষ্ঠাতা।

তিঁনিই একমাত্র সফল পুস্তক ব্যবসায়ী যিনি মাতৃভাষায় প্রথম মানচিত্র বই, ওয়ালম্যাপ, গ্লোব ইত্যাদি তৈরি করে দেশ সেবার দায়িত্বকে কর্তব্য বলে মনে করেছেন। এই জন্য অবশ্য তিনি অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং এ ত্যাগ বৃথা যায়নি। ফলে দেশের বহু বৈদেশিক মুদ্রা বেঁচে গিয়েছিল এবং শিক্ষা ব্যবস্থাও অনেক উপকৃত হয়েছিল।

মহিউদ্দীন আহমদ কেবল একজন সৎ প্রকাশক ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন ধার্মিক এবং উৎসর্গপ্রাণ সমাজসেবক। গ্রামের বাড়ির সঙ্গে ছিল তাঁর গভীর মমত্ববোধ। যে চিনামুড়া হাইস্কুলে তিনি প্রাথমিকভাবে অধ্যয়ন করতেন তখন সেটা ছিল টিনের ঘর। সেই স্কুলে পরবর্তীতে তিনি নিজ ব্যয়ে পাকা দালান করে দিয়েছেন।

তাঁছাড়া তিনি নিজ বাড়িতে আলতাফ মেমোরিয়াল ফ্রি প্রাইমারি স্কুল, স্বপাড়া দাতব্য চিকিৎসালয় (স্থাপিত ১৯৫৯ সালে), মসজিদ, মাদ্রাসা এবং আরো অনেক জনহিতকর প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। ১৯৬২ সালে থানা পরিষদের অধীনে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর মতলবের যে রাস্তাটি তৈরি হয় তার অন্তরালেও মহিউদ্দীন আহমদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।

গৌরীপুর মুন্সি ফজলুর রহমান ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠায় (১৯৬৯) তাঁর ভূমিকা ছিল। কলেজের লাইব্রেরি (মহিউদ্দীন পাঠাগার) ও ছাত্রাবাস তৈরী করে দিয়েছেন নিজ অর্থে। মহিউদ্দীন আহমদ প্রকাশনা শিল্পের অন্যতম অগ্রপথিকই শুধু নন এদেশের প্রকাশনাশিল্পকে যারা রুচিবোধ, সংস্কৃতি-চেতনা ও শৈল্পিক দৃষ্টি দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি তাঁদের মধ্যে অন্যতম।

শ্রম, সংগঠন, দক্ষতা, ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি এবং শিল্পসাহিত্যের প্রতি অনুরাগ ঐতিহ্যপ্রীতি ও রুচিবোধ যে একজন একনিষ্ঠ মানুষকে যথেষ্ট সাফল্য দিতে পারে মহিউদ্দীন আহমদ তাঁর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর এই বিরল ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম এই বলে মন্তব্য করেছেন যে, মহিউদ্দীন আহমদ সমাজের সেই বিরল ব্যক্তিত্বের একজন যার সঙ্গে যেকোন বুদ্ধিজীবী সচ্ছল সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন।

তিঁনি বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে। মহিউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়ার জেষ্ঠ্য পুত্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বাবার বিনয়ী জীবনের স্মৃতিচারণ করে বিজনেস জার্নালকে বলেন, একজন আদর্শবান সফল পিতার সন্তান হওয়া খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। এবং সেই আদর্শকে ধারণ করা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আরো কঠিন।

স্বভাবত প্রশ্ন জাগে কি ছিল আমার বাবা জনাব মহিউদ্দীন আহমদের(১৯১৯-১৯৯০) সাফল্যের মূল ভিত্তি। এক কথায় এর উত্তর হল তার শৃঙ্খলিত জীবন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই অনেক কাজ করতেন। এর মধ্যে এক ছিল ফজরের নামায শেষে সুর করে কোরান তেলোয়াত। সেই সুরের আমেজে প্রতিদিন ঘুম ভাঙত আমার।

এখন মনে হয়, সেই সুরের ভেতর নিহিত ছিল সমস্ত অলস পঙ্কিলতা দূর করার এক উদাত্ত আহ্বান। ওই আহ্বানের মন্ত্রণা ছিল সারাদিনের কর্মে অনুপ্রেরণা। তিনি জানান, তাঁর জীবন ভাবনার অন্যতম ছিল সরলতা। অর্থবিত্তের মালিক হয়েও বিলাসিতা বর্জন করেছেন সারাজীবন। মনে হতো অর্থ উপার্জন করছেন মানুষকে এবং সমাজকে বিলিয়ে দেবার জন্য। গাড়িতে চড়েছিলেন ঠিকই।

কিন্তু নতুন মডেলের অনুসন্ধানে ছিলেন না। পুরানো মডেলের গড়িটিকে ঠিকঠাক করে চলতেন। নতুন ঢাকার জীবনের চেয়ে পুরানো ঢাকার জীবনযাপনই তার পছন্দসই ছিল। জিন্দাবাহার, ইসলামপুর রোড, বাবুবাজার, আরমানিটোলা, বাংলাবাজারে তিনি ছিলেন সকলের শ্রদ্ধার পাত্র। সেই তখনকার দিনে জিন্দাবাহারের ‘আহমদ পাবলিশিং হাউস’ ছিল এক মননের প্রতীক।

সেখানকার অধিবাসীদের জন্য সেটি ছিল এক গর্বের বস্তু। তিনি আরও বলেন, অনেক কারণে তিনি ছিলেন এক অন্যরকম পিতা। মাথায় কিস্তি টুপি, কারুকার্যময় অবশ্যই। খুবই মসৃণ কাপড়ের সুতি পাঞ্জাবি, সাদা পাজামা। এ পোশাকেই দেখেছি সবসময়। জীবনাচারের ক্ষেত্রে এই ঐতিহ্য ধরে রাখলেও বাবা কোনোক্রমেই গোড়া ছিলেন না।

সাদা পোশাকে এক অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন তিনি। গলার কণ্ঠস্বর ছিল বেশ রাশভারী। অন্যায়ের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিতেন সিংহের মত। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাবার ভূমিকা সম্পর্কে কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আব্বার নির্দেশে গ্রামের চেয়ারম্যান মেম্বারদের নিয়ে একটি শান্তিশৃঙ্খলা কমিটি গঠিত হয় সংখ্যালঘুদের জানমাল হেফাজতের জন্য, একবার দেখা গেল এক মেম্বারের নেতৃত্বে কিছু দুষ্কৃতিকারী হিন্দুদের বাড়িতে লুটপাটে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।

সেটাকে আব্বা সহজভাবে নেননি। মনে পড়ে তিনি এক মেম্বারকে বিচারকার্যের মাধ্যমে জুতোপেটা করেছিলেন। এই নিঃস্বার্থ বিচারের ফলে স্বাধীনতা অব্দি এলাকায় সংখ্যালঘু নির্যাতন একেবারেই ছিলো না। পরবর্তীতে দেখেছি আব্বা রাতে বালিশের পাশে বন্দুক নিয়ে ঘুমাতেন।এভাবে আব্বা হয়ে উঠেছিলেন উগ্র সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী এক উদার মনোভাবাপন্ন খাঁটি মুসলমান।

তাইতো মৃত্যুর পর সকল সংখ্যালঘুদের আহাজারী ছিল এই বলে যে- “আমাদের আর কেউ নেই।” সবশেষে অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ দেশবাসীর প্রতি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া চান।

এনডি/এসপি
দাউদকান্দিতে ধানসিঁড়ি সমাজ কল্যানের উদ্যোগে  ময়লার ভাগাড় পরিচ্ছন্নতা অভিযান

দাউদকান্দিতে ধানসিঁড়ি সমাজ কল্যানের উদ্যোগে ময়লার ভাগাড় পরিচ্ছন্নতা অভিযান